সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান
নিখোঁজের ২৩ দিন পর স্কুলছাত্রের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা থেকে নিখোঁজ স্কুলছাত্র রোমান শেখের (১৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এই মামলার প্রধান আসামি শ্রীনগর উপজেলার ছয়গাঁও গ্রামের সিয়াম ওরফে জিহাদের (১৯) বাড়ির পাশের পুকুর থেকে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা আসামির বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আজ সকাল ১০টার দিকে মরদেহ ভেসে ওঠার খবরে ওই স্থানে লোকজন জড়ো হন। পরে ওই পুকুরে দুর্গন্ধযুক্ত বস্তা ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এরপর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে মরদেহ পুকুরের পানি থেকে উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়দের দাবি, স্কুলছাত্র রোমান শেখেকে হত্যার পরে অভিযুক্তরা মরদেহটি গুম করার উদ্দেশ্যে পুকুরে ফেলে দেয়। তবে সকাল থেকে স্থানীয়দের বাধায় পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করতে পারছিল না। পরে দুপুর পৌনে ১টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এ সময় বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে মরদেহটি পুকুরের হতে উদ্ধার করা হয়। গতকাল বুধবার বিক্ষুব্ধ জনতা নিখোঁজ ওই ছাত্রের সন্ধান চেয়ে সিরাজদিখান থানায় হামলা ও ভাঙচুর চালায়।
এ ব্যপারে সিরাজদিখান সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আ ন ম ইমরান খান বলেন, ঘটনাস্থল হতে মরদেহ উদ্ধারের পর নিশ্চিত হওয়া গেছে এটা রোমানের মরদেহ। মরদেহটি মর্গে প্রেরণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২১ জানুয়ারি উপজেলার কোলা ইউনিয়নের থৈরগাঁও এলাকা থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হন নিখোঁজ রোমান। স্কুলে পড়ালেখার পাশাপাশি অটো চালিয়ে উপার্জন করতো সে। পরে এ ঘটনায় ২৫ জানুয়ারি সিরাজদিখান থানায় জিহাদসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করে পরিবার। পুলিশ ওই ৩ জনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করলেও রোমানের হদিস মিলছিল না। ২৩ দিন পরে আজ বৃহস্পতিবার এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গতকাল ১২ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ রোমানের সন্ধানের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে সিরাজদিখান থানায় অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়।
Anamul haque Enam
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন